গুপ্ত সাম্রাজ্য
গুপ্ত সাম্রাজ্য wbcs rrb group d exam preparation
wbcs , psc , ssc cgl , ibps , ias , ips exam preparation
কুশাণ যুগের অবসানে ভারতে গুপ্ত রাজবংশের উত্থান ঘটে । ভারতের ইতিহাসে গুপ্ত সাম্রাজ্য একটি স্মরণীয় অধ্যায় ।
গুপ্ত রাজবংশের প্রথম দুজন রাজা হলেন – মহারাজা শ্রীগুপ্ত , মহারাজা ঘটোৎকচগুপ্ত ।
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত এই বংশের প্রথম সার্বভৌম রাজা । ৩২০ খ্রিঃ তিনি মগধের সিংহাসনে বসেন । তিনি ‘গুপ্তাব্দ’ নামে একটি অব্দের প্রচলন করেন । ৩৩৫ খ্রিঃ(মতান্তরে ৩৪০ খ্রিঃ) তার মৃত্যু হয় ।
সমুদ্রগুপ্ত
সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেন রচিত ‘এলাহাবাদ প্রশস্তি’ থেকে তার সামরিক প্রতিভা ও রাজত্বকালের বিবরন পাওয়া যায় । সমুদ্রগুপ্ত নিজেকে ‘একরাট’ হিসেবে ঘোষণা করেন । তিনি বুঝেছিলেন মগধ থেকে দাক্ষিনাত্যে আধিপত্য বজায় রাখা সম্ভব নয় । তাই সমুদ্রগুপ্ত দাক্ষিনাত্যের রাজ্যগুলি জয় করে তাদের কাছ থেকে আনুগত্যের প্রতিস্রুতি নিয়ে নিজ নিজ রাজ্য ফিরিয়ে দিতেন । একে হরিষেণ “গ্রহন পরিমোক্ষ” বলেছেন ।
সিংহলরাজ মেঘবর্ন তার অনুমতিক্রমে বোধগয়ায় একটি বৌদ্ধ মঠ স্থাপন করেন ।
তিনি ‘পরাক্রমাঙ্ক’ , ‘সর্বরাজোচ্ছেত্তা’ , অপ্রতিরথ প্রভৃতি উপাধি ধারন করেন ।
ঐতিহাসিক স্মিথ তাঁকে ‘ভারতীয় নেপোলিয়ন’ বলেছেন ।
সমুদ্রগুপ্তের ‘কবিরাজ’ উপাধি থেকে কবিরুপে তার খ্যাতির কথা প্রমান করে ।
বিখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত হরিষেন তার সভাকবি ছিলেন ।
তাঁকে ‘প্রাচীন ভারতীয় সুবর্ন যুগের অগ্রদূত’ বলা হয় ।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা বিক্রমাদিত্য
উজ্জয়িনী নগরিতে তিনি দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন । শক শক্তির উচ্ছেদ করে ‘শকারি’ উপাধি ধারন করেন । দিল্লির কুতুবমিনারের কাছে মেহেরৌলি লৌহস্তম্ভে তার কথা উল্লিখিত আছে । ধর্মবিশ্বাসে তিনি বৈষ্ণব হওয়া সত্ত্বেও তিনি পরধর্মমত সহিষ্ণু ছিলেন । ফা হিয়েন তার সাম্রাজ্যে প্রচুর বৌদ্ধ মঠ দেখেন । তার সেনাপতি বৌদ্ধ ছিলেন এবং মন্ত্রী বীরসেন ছিলেন শৈব ।
তিনি ‘বিক্রম সম্বৎ’ নামে একটি অব্দ প্রবর্তন করেন ।
গুপ্ত সাম্রাজ্য wbcs rrb group d exam preparation
ফা-হিয়েনের ভারতভ্রমন
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে ফা-হিয়েন ভারতে আসেন । ফা-হিয়েনের ভারতভ্রমনের উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ সংগ্রহ এবং বৌদ্ধ তীর্থস্থান ভ্রমন ।
দীর্ঘ দশ বছর ৪০০-৪১১ খ্রিঃ তিনি ভারতে ছিলেন । বাংলার তাম্রলিপ্ত বন্দর থেকে তিনি সমুদ্রপথে ভারত ত্যাগ করেন ।
তার রচিত ফ-কুয়ো-কিং ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম উপাদান ।
গুপ্ত সাম্রাজ্য wbcs rrb group d exam preparation
প্রথম কুমারগুপ্ত ( ৪১৫ – ৪৫৫ খ্রিঃ)
তার রাজত্বকালে পুষ্যমিত্র নামে একটি উপজাতি গুপ্ত সাম্রাজ্যে আক্রমন চালায় । তার উপাধি ছিল মহেন্দ্রাদিত্য ।
স্কন্দগুপ্ত ( ৪৫৫-৪৬৭ খ্রিঃ )
দুর্ধর্ষ হূণদের আক্রমন প্রতিরোধের জন্য তাঁকে ‘ভারতের রক্ষাকারী’ বলা হয় ।
“আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প” গ্রহ্নে তাঁকে একজন শ্রেষ্ঠ ন্যায়সম্পন্ন নিরপেক্ষ বিচারক বলা হয়েছে ।
গুপ্তযুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি
গুপ্তযুগকে সুবর্ন যুগ বলে আখ্যায়িত করা হয় ।
এই যুগকে সংস্কৃত ভাষার পুনরুত্থানের যুগ বলে চিহ্নিত করা হয় ।
সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ রচিত এলাহাবাদ প্রশস্থি ইতিহাসের একটি অমূল্য সম্পদ ।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী বীরসেন একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন ।
ভতৃহরি , পাণিনি , পতঞ্জলি এই যুগে আবির্ভুত হন ।
মহাকবি কালিদাস এযুগের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । তার অন্যতম রচনা হল অভিজ্ঞানশকুন্তলম , মালবিকাগ্নিমিত্রম ।
এছাড়াও বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস , শূদ্রক রচিত মৃচ্ছকটিক , ভারবি প্রনেতা কিরাতার্জুনীয়ম , বিষ্ণুশর্মার পঞ্চতন্ত্র , দন্ডী রচিত দশকুমারচরিত , শব্দকোষ বা অভিধান প্রনেতা অমরসিংহ এযুগের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন ।
বিখ্যাত শল্যবিদ সুশ্রুত এযুগের মানুষ ছিলেন ।
এইযুগে তৈরি হওয়া মেহেরৌলি স্তম্ভ একটি বিস্ময় ।
আর্যভট্ট , বরাহমিহির , ব্রহ্মগুপ্ত এযুগের মানুষ ছিলেন ।
গুপ্তযুগকে “হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানের যুগ” বলে চিহ্নিত করা হয় ।
অজন্তা , ইলোরা উদয়গিরির গুহামন্দির গুলিও এযুগেরই সম্পদ ।
wbcs history mock test
RRB group d preparation
wbcs online book store
wbcs guide books
IAS preliminary exam guide
ips preliminary exam guide
wbcs online help