জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন wbcs preliminary
জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন wbcs preliminary
বৌদ্ধ গ্রহ্ন অনুসারে এই যুগে ভারতে তেষট্টি টি প্রতিবাদী ধর্মের উত্থান ঘটে ।
উত্তরপূর্ব ভারতে কৌশাম্বী , কোশল , কুশীনগর , বৈশালী , রাজগৃহ , বারাণসী , চিরান্দ প্রভৃতি নগর প্রতিষ্ঠিত হয় ।#জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন wbcs preliminary
জৈনধর্ম

জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন
জৈনধর্মে ২৪ জন তীর্থঙ্করেরে নাম রয়েছে ।
তীর্থংকর অর্থাৎ মুক্তির পথনির্মাতা ।
সর্বপ্রথম তীর্থঙ্কর হলেন ঋষভদেব এবং চব্বিশতম তীর্থঙ্কর হলেন মহাবীর ।
তেইশতম তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ । তিনিই জৈনধর্মের প্রকৃত প্রবর্তক ।
পার্শ্বনাথ প্রবর্তিত ধর্মের মূলমন্ত্র ছিল চতুর্যাম । #জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন wbcs preliminary
আনুমানিক ৫৪০ খ্রিস্টপূর্ব বৈশালীর উপকণ্ঠে কুন্দগ্রাম বা কুন্দপুর ( বর্তমান মজঃফরপুর জেলার বসার গ্রামে ) নামক স্থানে “জ্ঞাতৃক” নামক ক্ষত্রিয় রাজকুলে মহাবীরের জন্ম ।
তার পিতৃদত্ত নাম ছিল বর্ধমান । পিতার নাম সিদ্ধার্থ এবং মাতা ছিলেন লিচ্ছবি বংশীয় রাজকন্যা ত্রিশলা ।
তার স্ত্রী যশোদা এবং কন্যার নাম আনজ্জা বা প্রিয়দর্শনা
ত্রিশ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে দীর্ঘ বার বছর কঠোর সাধনার পর ঋজুপালিকা নদীর তিরে এক শালগাছেড় ণীচে টীণী কৈবল্য বা সিদ্ধিলাভ করে জিন বা জিতেন্দ্রিয় নামে বিখ্যাত হন ।চিরতরে বস্ত্র ত্যাগ করে নির্গন্থ হন ।
৪৬৮ খ্রিস্টপূর্বে ৭২ বছর বয়সে রাজগৃহের কাছে পাবা নগরীতে তিনি অনশনে স্বেচ্ছামৃত্যু বরন করেন ।
মহাবীর চতুর্যামের সাথে ব্রহ্মচর্যকে যুক্ত করেন , যা পঞ্চমহাব্রত নামে পরিচিত ।#জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন wbcs preliminary
মহাবীরের মতে সত্য বিশ্বাস , সত্য আচরন যা ত্রিরত্ন নামে পরিচিত।
মগধরাজ বিম্বিসার , অজাতশত্রু ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এই ধর্মমতের সমর্থক ছিলেন ।
জৈনধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন কলিঙ্গরাজ খারবেল , কাথিওবাড়ের রাজা মান্ডলীক , গুজরাটরাজ জয়সিংহ ও কুমারপাল ।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের শেষভাগে উত্তর ভারতে এক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় । সেইসময় ভদ্রবাহু ও তার শিষ্যরা দক্ষিনভারতে চলে যান । স্থুলভদ্র ও তার শিষ্যরা মগধেই থেকে যান ।
ভদ্রবাহুর শিষ্যরা দিগম্বর ও স্থুলভদ্রের শিষ্যরা শেতাম্বর নামে পরিচিত ।
ভদ্রবাহু রচিত কল্পসূত্রকে জৈনদের আদি শাস্ত্রগ্রন্থ বলা যেতে পারে ।#জৈনধর্ম ধর্মীয় প্রতিবাদ আন্দোলন wbcs preliminary
জৈনদের ধর্মগ্রন্থ “দ্বাদশ অঙ্গ” বা “জৈনআগম” বা “জৈনসিদ্ধান্ত” নামে পরিচিত ।জৈনদের ধর্মগ্রন্থ প্রাকৃত ভাষায় রচিত ।wbcs histoty books
জৈন সংগীতি অনুষ্ঠিত হয় আনুমানিক ৩২২-৩২৯ খ্রিস্টপূর্বে পাটলিপুত্রে স্থুলভদ্রের নেতৃত্বে । এর ফলে দ্বাদশ অঙ্গ এবং শ্বেতাম্বর দিগম্বরে বিভাজিত হয় ।
দ্বিতীয় জৈনসংগীতি অনুষ্ঠিত হয় বল্লভীতে ৫১২ খ্রিস্টাব্দে ( গুজরাত )ক্ষমাশ্রবন এর নেতৃত্বে । এর ফলে জৈন আগম সংকলিত হয় , যা জৈনসিদ্ধান্ত নামে পরিচিত ।