এই গাছটি হতে পারে আপনার জন্য প্রাণঘাতী !! নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এক্ষুনি লেখাটি পড়ুন !!
এই গাছটি হতে পারে আপনার জন্য প্রাণঘাতী !! নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এক্ষুনি লেখাটি পড়ুন !!
By Admin
রাস্তাঘাটে এই গাছটি কি কখনও দেখেছেন ? যদি না দেখে থাকেন তাহলে আপনি ভাগ্যবান । আর যদি ভবিষ্যতে দেখেন তাহলে নিশ্চয় আপনার এই গাছটি থেকে দশ হাত দুরে থাকা উচিৎ ? কেন ? তো চলুন আমরা ছোট্ট করে জেনে নি এই গাছটি কেন এত ভয়ানক ? কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন আপনি কি জানতেন গাছটির ব্যাপারে ?
গাছটির সাধারন বৈশিষ্ঠ্য
গাছটির নাম পার্থেনিয়াম । প্রকৃত অর্থে পার্থেনিয়াম এক ধরনের বিষাক্ত আগাছা।কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত দূষক এই উদ্ভিদটি । এর বৈজ্ঞানিক নাম Parthenium Hysterophorus. কয়েক বছর আগে রাস্তা বা রেললাইনের ধারেই দেখা মিলত। কিন্তু এখন রাস্তার ধারে, আপনার বাড়ির পাশে, খেলার মাঠ, কৃষিজমি থেকে শুরু করে যত্রতত্র থাবা বসাতে শুরু করেছে বিষাক্ত এই পার্থেনিয়াম। এই বিষাক্ত উদ্ভিদটি সাধারণত উচ্চতায় ১-১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পার্থেনিয়াম দেখতে সাধারণত হাইব্রিড ধান গাছের মতো। শাখা বিস্তারের মাধ্যমে এর আকৃতি গম্বুজ আকৃতির অথবা ঝোপ আকারের হয়ে থাকে।
উৎপত্তি ও বিস্তার
পার্থেনিয়ামের মূল উৎপত্তিস্থল মেক্সিকো। মেক্সিকোতেই সর্বপ্রথম এই উদ্ভিদের জন্ম হয়। সেখান থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে একে একে আমেরিকা, আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশেসহ বিভিন্ন দেশে। পার্থেনিয়ামের একটি গাছ চার হাজার থেকে ২৫ হাজার অতিক্ষুদ্র বীজের জন্ম দিতে পারে। একটি গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ দেয় গাছটি।
উদ্ভিদ জগতের ক্ষতিসাধন
পার্থেনিয়াম উদ্ভিদেরমারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে। ক্ষেতের ফসল বা উদ্ভিদের নিকটে পার্থেনিয়াম থাকলে সেই ফসলের ফলন মারাত্মক হারে কমে যায়। এই আগাছা ফসলের উৎপাদন প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
প্রাণী জগতের ক্ষতিসাধন
উদ্ভিদ জগতের পাশাপাশি পার্থেনিয়াম প্রাণীজগতেও মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। পার্থেনিয়াম আগাছাযুক্ত মাঠে গবাদিপশু চরানো হলে পশুর শরীর ফুলে যায়, তীব্র জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং পশুর বদ হজমও দেখা দেয়।
মানুষের ক্ষতিসাধন
পার্থেনিয়ামের রেণু অতি সূক্ষ্ম ও হালকা হওয়ায় তা সহজেই বায়ুমণ্ডলে ভেসে থাকতে পারে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস তো বটেই, এমনকী এই উদ্ভিদের উপক্ষার পার্থেনিন ক্যান্সারেরও সহায়ক। পার্থেনিয়ামের নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের সংযোজন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এরা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পার্থেনিয়াম আগাছা থেকে বাঁচার উপায়
যেখানেই পার্থেনিয়াম দেখতে পাওয়া যায় সেখান থেকেই এই আগাছা পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পার্থেনিয়াম আগাছা তোলার সময় গাছটির সরাসরি স্পর্শ এড়ানোর জন্য অবশ্যই হাতে প্লাস্টিক অথবা পলিথিন গ্লাভস পরতে হবে। এই আগাছা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে সেজন্য এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রকৃত অর্থেই পার্থেনিয়াম প্রকৃতির অজানা শত্রু ।
যদি লেখাটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করবেন এবং পার্থেনিয়াম থেকে দূরে থাকবেন !