Bangla Awas Plus Yojana 2023
কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা ছাড়লেও যেন কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিতে চাইছে সবকিছু । আর সেকারনেই একের পর এক চাপ দেওয়া হচ্ছে রাজ্যকে । এর আগে কেন্দ্রের তরফে চাপ দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সকল অনুমোদিত উপভোক্তার নাম পোর্টালে তুলতে হবে ।
কিন্তু কেন্দ্র এখানেই থেমে থাকেননি । এবার বলা হচ্ছে আগামী ৩১ শে মার্চের মধ্যে যে ১০ লক্ষ উপভোক্তার নাম পোর্টালে তোলা হয়েছে বা অন্যভাবে বললে আবাস যোজনার যোগ্য উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে ।
সেই নির্দেশকে সামনে রেখে তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নের । মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৩১ শে মার্চের মধ্যে সমস্ত বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন কেন এত তৎপরতা ।
মনে করা হচ্ছে যদি ওই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজ না সম্পূর্ণ করা হয় সেক্ষেত্রে শুধু যে বর্তমান উপভক্তাদের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন তাই নয় । নতুন বছরে বাংলার প্রাপ্য কোটা পেতেও সমস্যা তৈরি হবে ।
আবাস যোজনা অন্যতম একটি জনমুখি প্রকল্প । তাই রাজ্য সরকার কখনই চাইবে এমন একটি জনমুখি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হোক রাজ্যবাসী । তাই হয়তো কেন্দ্রের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে রাজ্য ।
জানা যাচ্ছে গত সোমবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আগামী ৯০ দিনের মাথায় কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন । এমনকি কেউ জানা যাচ্ছে রাজ্যে আবাস যোজনা সম্পর্কিত অফিসারেরা উপভোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আবাস যোজনা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য তূলে ধরবেন । সেখানে এও জানানো হবে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি না-করার পরিণতি কী হতে পারে ।
রাজ্যের তরফে স্থির করা হয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে বাড়ির জানলা পর্যন্ত নির্মাণ করতে হবে । পরবর্তী কিস্তির ৩৫ দিনের মধ্যে কাজ হবে ‘লিন্টেল’ বা জানলার উপরিভাগ পর্যন্ত । তার পরের কিস্তির ১৫ দিনের মধ্যে ঢালাই-সহ বাড়ি তৈরির সামগ্রিক কাজ শেষ করতেই হবে । রাজ্যের তরফে যাতে ইট-বালি-পাথর এবং অন্যান্য উপকরণের জোগান নিশ্চিত থাকে সেবিষয়েও লক্ষ রাখা হচ্ছে উপভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি হচ্ছে ।
নবান্নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবাস-বন্ধু, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন বা অন্য সহায়কেরা নিজেদের এলাকায় প্রতি সপ্তাহে বাড়ি তৈরির উপরে নজর রাখবেন । কাজ যাতে দ্রুত এগোয়, তাই ‘সফল’ সহায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী ও ব্লক স্তরের কর্মীদের জন্য উৎসাহ ভাতা বা পুরস্কারের প্রস্তাবও আছে।
প্রতি সপ্তাহে গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের হিসেব নেওয়া হবে । অন্যদিকে ব্লক ও মহকুমা স্তরে প্রতি ১৫ দিনে এক বার কাজের হিসেব নেওয়া হবে । জেলাশাসকের অধীনে কাজের খতিয়ান নেওয়া হবে । জেলাশাসককে এবিষয়ে সহায়তা করবেন পঞ্চায়েত সচিব । মুখ্যসচিবের নির্দেশ বাড়ি তৈরির প্রতিটি স্তরে ছবি ও জিয়ো-ট্যাগ নিশ্চিত করতে হবে সব জেলা প্রশাসনকে।কারণ কেন্দ্রের তরফে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চাইছেন না এবিষয়ে কোনও গরিমসি হোক । তার ফলস্বরূপ আবাস যোজনার কাছে উপর থেকে নিচ সর্বোত্র তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে ।
এইধরনের শিক্ষা , চাকরি , ব্যবসা , সরকারি প্রকল্প , রেল , ব্যাঙ্ক তথা রাজ্য এবং দেশের ট্রেণ্ডিং খবরের আপডেট পেতে আমাদের Whatsapp গ্রুপে জয়েন করুন । নিচে লিংক দেওয়া হল –
This post was last modified on January 3, 2023 4:03 pm
Soap Making Business Plan Soap Making Business Plan : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…
RD Scheme in Post Office RD Scheme in Post Office : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই…
Popcorn Business Plan Popcorn Business Plan : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
PhonePe Earning Tricks PhonePe Earning Tricks : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে বিভিন্ন…
Lemon Grass Cultivation Lemon Grass Cultivation : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
Gujarat High Court Recruitment Gujarat High Court Recruitment : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…
