duare tran prakalpa mamata banerjee announced : পশ্চিমবঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে বহু বারই নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আর সেই প্রত্যেকটি সময়েয় সামনের সারিতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রত্যেক বারই তিনি নিজেই নবান্নে তৈরি কন্ট্রোলরুমে বসে গোটা পরিস্থিতি দেখে দরকারি পরামর্শ দিয়েছেন। ফণী’, ‘আমফান’-এর মতো শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ের সময় তাঁর ভীষন রকমের সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল। আর এবারও ‘ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ের সময়েও টানা দুদিন তিনি নিজে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে ক্ষয়ক্ষতি কতটা, তা দেখে বুঝে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজে উপস্থিত থেকে যেহেতু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লক্ষ্য করেছেন তাই ইয়াস এর ২৪ ঘন্টার মধেই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। আর আজ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১৫হাজার কোটি টাকা।
বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিপূরণ করার জন্য মাত্র একদিনের মাথাতেই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ইয়াস এর বিপর্যয় কাটলেই সবচেয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ, ক্ষতিপূরণের কাজ শুরু হবে।
আজই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের থেকে ক্ষতির পরিমান জেনে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১.১৬ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে। তার আর্থিক ক্ষতি প্রায় ২০০০ কোটি টাকা।
তাছাড়াও ইয়াস এর আগে পরে আশেপাশের এলাকায় নিম্নচাপ ও টর্নেডো তৈরি হওয়ায় বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে গেছে। ক্ষতি হয়েছে বহু বাড়ির।
এছাড়া ‘যশ’-এর আগে,পরে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় টর্নেডো তৈরি হওয়ায় প্রচুর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, ভেঙে গিয়েছে কাঁচাবাড়ি। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ক্ষতিপূরণের কাজ হবে, তার একটা ধারণাও স্থির করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আপাতত রাজ্যের তরফ থেকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়ে এই কাজ শুরু করা হবে। এব্যাপারে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি করলেন টাস্ক ফোর্স। মুখমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়ে জানান, এই বরাদ্দ টাকা যেন ঠিক মত খরচ করা হয়। আর এই ত্রাণের টাকা পৌঁছে দিতে শুরু হবে সরকারের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প৷
‘দুয়ারে সরকার’-এর আদলে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জল ঢুকে ঘরবাড়ি, চাষের জমির প্রভূত ক্ষতি হয়েছে৷ যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পৃথক পৃথক ভাবে সার্ভে করা হবে৷ এর জন্য দুয়ারে সরকারের মতো দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সুবিধা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও যেমন থাকবে, তেমনই ব্লক স্তরেও থাকবে৷ তবে এই প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে চালাবে রাজ্য সরকার৷
কীভাবে ত্রাণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে, তা বিস্তারিত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। কারও মাধ্যমে নয়, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন জানাতে পারবেন। তবে কারও মুখের কথায় ত্রাণ বণ্টন হবে না৷ দাবি খতিয়ে দেখার পরেই মিলবে প্রাপ্য সাহায্য৷
এরপর ১৯ থেকে ৩০ জুন – এই সময়ে আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে৷
গত বছরের আমফানের ত্রানের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হইকোর্টে এখনো মামলা চলছে। তাই এবারে যেন আর কোনো রকম কোনো অভিযোগ না ওঠে, সেই জন্যই ত্রানে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রী এই পরিকল্পনা নিয়েছেন।
This post was last modified on May 27, 2021 6:34 pm
Ward Boy Recruitment 2024 Ward Boy Recruitment 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…
Manipur University Vacancy Manipur University Vacancy : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
Andrew Yule Career Andrew Yule Career : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
Reliance Career 2024 Reliance Career 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
NIRT Job 2024 NIRT Job 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
India Post Vacancy 2024 India Post Vacancy 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…