বন সহায়ক নিয়োগ পরীক্ষায় কিভাবে সফল হবেন ?
How to Success in Van Sahayak Exam West Bengal : আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন বন সহায়ক পরীক্ষায় ২০ লক্ষের উপর পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন । আপনারা এটাও জেনেছেন এই পরীক্ষায় বসার জন্য যোগ্যতা এইট পাশ হলেও আবেদন করেছেন পিএইডডি , এম.এস.সি , এম.এ পাশ ছাত্র ছাত্রীরাও ।
একটি একবছরের চুক্তিভিত্তিক পোস্ট । বেতন সাকুল্যে দশ হাজার । নিয়োগ হবে মাত্র ২ হাজার । আর আবেদন পরেছে ২০ লক্ষের উপর ।
এই তথ্য একদিকে যেমন প্রমান করে আমাদের দেশ তথা রাজ্যের বর্তমান বেকারত্বের পরিস্থিতি একইসাথে আরও একটি দিক তুলে ধরছে সেটি হল পরীক্ষা কিন্তু মোটেই সহজ হবে না । কারন মনে রাখবেন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী একজন পিএইচডি পাশ ছাত্র বা ছাত্রী হতে চলেছে । সেইজায়গায় আপনার প্রস্তুতি বিশেষ না হলে কিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন !
আরও পড়ুনঃ সামান্য বিনিয়োগে এই ব্যবসাটি শুরু করুন , মাসে লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করুন
এই আর্টিকেলে আমি চেষ্টা করব সেইসংক্রান্ত বিষয়েই কিছু গাইড করতে । কোন পরীক্ষায় সফল হতে গেলে সব থেকে আগে যেটি লাগবে সেটি হল সেই পরীক্ষাটি সম্বন্ধে সম্যক ধারনা ।
প্রথমে বুঝতে হবে পরীক্ষার নিয়োগ কি পদ্ধতিতে হবে ? তার কি সিলেবাস ? এবং সেইমত নিতে হবে প্রস্তুতি । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক !
বন সহায়ক নিয়োগের শর্ত –
প্রথমেই আমরা এই বন সহায়ক নিয়োগ সম্পর্কিত কিছু বেসিক তথ্য জেনে নেবো । এই নিয়োগ সম্পূর্ণরুপে চুক্তিভিত্তিক ।
১. একবছরের চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ করা হবে । প্রয়োজনে পরবর্তীকালে এই সময় বারাতে পারে নিয়োগ কতৃপক্ষ ।
২. এই কাজের ক্ষেত্রে সরকারি চাকুরীজীবীরা যে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন , তা কেউ পাবেন ন বা দাবীও করতে পারবেন না ।
৩. প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে সাম্মানিক পাওয়া যাবে ।
আরও পড়ুনঃ মোমবাতি তৈরির মেশিন কিনুন মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন
৪. আপনার নিয়োগ পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো জায়গায় হতে পারে । তবে সাধারনভাবে আপনি যে জেলায় বাস করেন সেই জেলাতে বা তার আশেপাশের জেলাতে আপনাকে নিয়োগ করা হবে । এর জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশন অনুসারে ভাগ করা হয়েছে । নিচে তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল ।
(ক) প্রেসিডেন্সি ডিভিশন – কলকাতা , হাওড়া , উত্তর-২৪-পরগনা , দক্ষিণ-২৪-পরগনা , নদীয়া ।
(খ) মেদিনীপুর ডিভিশন – পুরুলিয়া , বাঁকুড়া , ঝাড়গ্রাম , পশ্চিম মেদিনীপুর , পূর্ব মেদিনীপুর , পশ্চিম মেদিনীপুর ।
(গ) বর্ধমান ডিভিশন – বীরভূম , হুগলী , পূর্ব বর্ধমান , পশ্চিম বর্ধমান ।
(ঘ) মালদা ডিভিশন – মালদা , মুর্শিদাবাদ , উত্তর দিনাজপুর , দক্ষিন দিনাজপুর ।
যদিও একটি বিষয় ভালোভাবে খেয়াল রাখতে প্রয়োজনে আপনার নিয়োগ পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো প্রান্তে হতে পারে ।
আরও পড়ুনঃ কেক তৈরির মেশিন কিনুন মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন
যোগ্যতা –
কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ক্লাস এইট পাশ হতে হবে ।
বয়স – ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস অনুসারে ১৮ থেকে ৪০ বছরের বয়স হতে হবে । সেই অনুসারে জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৮০ থেকে ৩১/১২/২০০১ এর মধ্যে হতে হবে । বয়সের উর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রে SC এবং ST আবেদনকারীরা ৫ বছরের ছাড় পাবেন ।
নিয়োগ পদ্ধতি –
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে নিয়োগ করা হবে ?
১. প্রাথমিকভাবে আপানাদের আবেদনপত্রগুলিকে প্রত্যেক জেলাভিত্তিক বাছাই করা হবে ।
২. আবেদন পত্রগুলি বাছাইয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের নির্দিস্ট জেলার নিয়োগ কতৃপক্ষের তরফ থেকে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন তথা ইন্টার্ভিউ এর জন্য ডাকা হবে । এখানে আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট তথা বয়স প্রমান পত্র , বাসিন্দা সার্টিফিকেট , পরিচয়পত্র যাচাই করা হবে ।
আরও পড়ুনঃ পপকর্ন তৈরির মেশিন কিনুন মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন
৩. এরপর নিয়োগ কতৃপক্ষের তরফ থেকে যোগ্য প্রার্থীদের পারসোনালিটি টেস্টের জন্য ডাকা হবে ।
পারসোনালিটি টেস্টে মোট পাঁচটি ক্ষেত্রে একশ নাম্বার থাকবে । নিচে সেই ক্ষেত্রগুলি এবং তাদের জন্য বরাদ্দ নম্বর উল্লেখ করা হল –
বিষয় | বরাদ্দ নম্বর |
---|---|
বাংলা পড়তে পারা | 30 |
বাংলা লিখতে পারা | 30 |
ইংরাজি ও হিন্দি পড়তে পারা | 10 |
সাধারন জ্ঞান (মৌখিক) | 20 |
পারসোনালিটি ফিটনেস ফর ফরেস্ট্রি ওয়ার্ক | 10 |
মোট | 100 নম্বর |
নিয়োগ বোর্ডে তিনজন সদস্য থাকবেন । তারা প্রত্যেকেই উপরের ১০০ নম্বর অনুসারে আবেদনকারীকে মূল্যায়ন করবেন । সর্বশেষে আবেদনকারী মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে কত নম্বর পেয়েছেন সেটি দেখা হবে ।
এক্ষেত্রে যদি দুই বার তার বেশি ক্যান্ডিডেট একই নম্বর পেয়ে থাকেন তাহলে বেশি বয়সের আবেদনকারীকে বাছাই করা হবে । যদি বয়স এবং নম্বরও দুই বা তার বেশি আবেদনকারীর এক হয়ে যায় সেক্ষেত্রে যে আবেদনকারী জেনারেল নলেজ বা সাধারন জ্ঞানে বেশি নম্বর পেয়েছেন তাকে বাছাই করা হবে ।
আরও পড়ুনঃ একপয়সা বিনিয়োগ ছাড়াই এই ব্যবসাটি শুরু করুন
৪. এরপর প্রত্যেক সার্কেল অনুসারে কাট ওফ মার্কস অনুসারে যোগ্য প্রার্থীদের লিস্ট তৈরি করা হবে । এবং সেই সার্কেলে যত শুন্যপদ আছে রাঙ্ক অনুসারে তাদের ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে নিয়োগ করা হবে ।
তাহলে আপনারা জেনে গেলেন কিভাবে নিয়োগ হবে । এবার তাহলে বন সহায়ক নিয়োগে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়টি ? ভালো করে লক্ষ্য করুন ১০০ নম্বরের ক্ষেত্রে যে পাঁচটি ক্ষেত্র রাখা হয়েছে তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপুর্ন হল জেনারেল নলেজ বা সাধারন । বাংলা , হিন্দি , ইংরাজি লিখতে বুঝতে সবাই পারেন । যেখানে দুইজন ক্যান্ডিডেটের পার্থক্য তৈরি করবে সেটি হল সাধারন জ্ঞান বা জেনারেল নলেজের ২০ নম্বর ।
এখন জেনারেল নলেজে ঠিক কি বিষয় থাকবে তার বিস্তারিত তথ্য নোটিফিকেশনে দেওয়া হয়নি । অর্থাৎ আপনাকে সব ধরনের জেনারেল নলেজের প্রস্তুতি নিতে হবে ।
কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলছে জেনারেল নলেজে বিশেষ করে বন বা অরন্য বা পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর জোর নিশ্চিতভাবেই দেওয়া হবে ।
এক্ষেত্রে জেনারেল নলেজ তো আপনারা পড়ছেনই তার সাথে পশ্চিমবঙ্গের অরন্য বা বন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে একটু পড়াশোনা বেশি করুন । এর বাইরে পরিবেশের উপর থেকে প্রশ্ন উত্তর বেশি করে পড়ুন । আপনাদের সুবিধার্থে কর্মসাথীর পক্ষ থেকে বন সহায়ক নিয়োগ গাইড নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে । এখানে মূলত পরিবেশ থেকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ২৫০ এরও বেশি MCQ দেওয়া হয়েছে । দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি পরিবেশ সংক্রান্ত এই প্রশ্নগুলি আপনার অন্যান্য পরীক্ষাতেও বিশেষভাবে কাজে লাগবে । এরসাথে বইটিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অরণ্য নিয়ে বিশেষ কিছু তথ্য । বইটি কিনতে চাইলে নিচের “BUY” বোতামে ক্লিক করুন । বিভিন্ন জায়গায় বই এর দাম ১০০ টাকার বেশি রাখা হয়েছে । আমরা আপনাদের সুবিধার্থে বইটির দাম রেখেছি মাত্র ৪৯ টাকা । আশাকরি বইটি বন সহায়ক নিয়োগ ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে লাগবে ।
বন সহায়ক নিয়োগ গাইড
মূল্য – ৪৯ টাকা
বিঃদ্রঃ – যদি আপনি Dailyshops.in থেকে বইটি কেনেন তাহলে সেই সাইটে রেজিস্ট্রেশন বাবদ দশ টাকা অতিরিক্ত পাবেন । এমনকি কেনার পর ৫ % ক্যাশব্যাক ও পাবেন । Dailyshops.in থেকে কেনার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ।
1 comments
thankssss