প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ! হাতে মাত্র আর কটা দিন, তারপরেই শুরু হতে চলেছে তোমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা । ইতিমধ্যেই তোমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছো । সেই প্রস্তুতিতে আর একটু সাহায্য করতে , তোমাদের জন্য রইল প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ বা কিছু মূল্যবান টিপস।
পরীক্ষার মোট সময়- 3 ঘন্টা 15 মিনিট । প্রথম 15 মিনিট প্রশ্নপত্র দেখার জন্য এবং খাতায় নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, খাতায় মার্জিন টানা প্রভৃতির জন্য ব্যবহার করবে।
তোমাদের ভূগোল প্রশ্নপত্রটি দুটি অংশে বিভক্ত থাকবে। PART-A এবং PART-B । প্রতিটি PART এ 35 নম্বর থাকবে।
এই বিভাগে মোট পাঁচটি প্রশ্নের (প্রতিটির মান- 7 নম্বর) উত্তর দিতে হবে। কিছু প্রশ্নের সঙ্গে ‘ অথবা ‘ দিয়ে বিকল্প প্রশ্ন থাকবে। উত্তর লেখার সময় এগুলো খেয়াল রেখে উত্তর দেবে। বিকল্প প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটির উত্তর তুমি ভালোভাবে জানো সেটিই লিখবে। তবে যেক্ষেত্রে মূল প্রশ্নটি এবং ‘অথবা ‘ এর বিকল্প প্রশ্ন উভয়েরই উত্তর তোমার জানা সেক্ষেত্রে বহু বিভাজন যুক্ত প্রশ্নটিকে অর্থাৎ যে প্রশ্নের নম্বর বিভাজন বেশি সেটিকেই প্রাধান্য দেবে। কারণ বহু বিভাজন যুক্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে নম্বর তোলা সহজসাধ্য হয়।
এই বিভাগের প্রশ্নপত্রটিতেই তোমাকে উত্তর লিখতে হবে। প্রশ্নপত্রটি দুটি দাগ নম্বর এ বিভক্ত থাকবে। 1 দাগে মোট 21 টি (প্রতিটি প্রশ্নের মান- 1 নম্বর) বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ) থাকবে। সকল প্রশ্নই আবশ্যিক। প্রতিটি প্রশ্নে 4 টি করে উত্তরের অপশন থাকবে। উত্তরের সঠিক অপশন লেখার জন্য প্রশ্নের ডানপাশে একটি বর্গাকার বাক্স থাকবে। কোনো অপশন লিখতে ভুল হয়ে গেলে সেটি ‘❌’ চিহ্ন দিয়ে কেটে দিয়ে বর্গাকার বাক্সের পাশে সঠিক অপশনটি লিখে দেবে।
এই বিভাগের 2 দাগে মোট 14 টি (প্রতিটি প্রশ্নের মান- 1 নম্বর) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের(SAQ) উত্তর দিতে হবে। এক্ষেত্রেও কিছু প্রশ্নে ‘অথবা’ দিয়ে বিকল্প প্রশ্ন থাকবে। উত্তর লেখার সময় বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়। বিকল্প প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটির উত্তর তুমি ভালোভাবে জানো সেটিই লিখবে। এই প্রশ্নগুলির উত্তর লেখার জন্য প্রশ্নের নিচে ফাঁকা জায়গা দেয়া হবে। ওই নির্দিষ্ট পরিসরেই তোমাকে উত্তর লিখতে হবে।
(1) নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবে- প্রথমেই বলি পরীক্ষা নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পরীক্ষা নিয়ে অনেকেই হালকা হলেও টেনশন এ থাকে। এই টেনশন বা ভীতির কোনো কারন নেই। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো- মনে রেখো সারাবছর তোমরা যা যা পড়েছ তার ভেতর থেকেই কিন্তু প্রশ্ন আসবে। সুতরাং ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই ।
(2) শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করো- পরীক্ষার সময় শরীর সুস্থ রাখাটাও একান্ত দরকার । এই কটা দিন বেশি মশলাযুক্ত খাবার, জাঙ্কফুড বা ফাস্ট ফুড এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো। মশলা বিহীন ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দাওয়া করবে। পেট ভর্তি করে না খাওয়াই ভালো। বেশি পরিমাণে জল পান করবে । শরীর যাতে ঠান্ডা থাকে তার ব্যবস্থা করবে।
(3) প্রয়োজন হলে ডাক্তারি পরামর্শ নাও: সাধারণত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা যে সময় হয় তখন Season Change বা সময় পরিবর্তন হয়। সর্দি-কাশি-জ্বর ঘরে ঘরেই লেগে থাকে। এছাড়াও চিকেন পক্সের সমস্যাও দেখা যায়। তাই সচেতন থাকো এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নাও।
(4) দৈনিক রুটিন করে পড়াশোনা করো: শুধু ভূগোল নয় সমস্ত বিষয়ই নিয়মমাফিক দৈনিক রুটিন করে পড়াশোনা করো। প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় ভাগ করে নিয়ে একটি টাইম রুটিন তৈরি করে ফেলো। পরেরদিন কোন বিষয়ে কতক্ষণ পড়বে সেটা ঠিক করে নাও আগের দিন রাতেই। এখন আর নতুন কিছু না পড়ে, এতদিন যা পড়েছ সেগুলিই রিভিশন দাও।
(5) মনঃসংযোগ বাড়াতে গান শোনা যেতে পারে: একটানা পড়াশোনা ক্লান্তিকর। একনাগাড়ে অনেক্ষণ পড়লে একঘেয়ামি আসাটা স্বাভাবিক। একঘেয়েমি কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া বেছে না নিয়ে তোমার প্রিয় গান শুনতে পারো। 45 মিনিট থেকে 1 ঘন্টা পড়ার পর 5 থেকে 10 মিনিট একটু পায়চারি করা দরকার। এতেও একাগ্রতা বা মনোযোগ বাড়বে ।
(6) অতিরিক্ত রাতজাগা পরিহার করবে: পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এটা একদমই উচিত নয়। মস্তিষ্কের স্মৃতি তৈরির কাজটি যেহুতু ঘুমের মধ্যেই হয়, তাই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। অতিরিক্ত রাত জাগার জন্য মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হয় এবং চোখের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তার চাইতে রাতে আগে ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ার অভ্যাস করতে পারো।
পরীক্ষার আগের রাত প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি উৎকণ্ঠার। এই রাতে তোমার যে বিষয়গুলি করণীয় হবে, সেগুলি হল–
(1) পরীক্ষার রুটিন চেক করো: অবশ্যই প্রথম কাজ হবে পরীক্ষার রুটিন অন্তত দুইবার চেক করা। কি পরীক্ষা, কখন পরীক্ষা, কোথায় পরীক্ষা- এই বিষয়গুলি খুব ভালোভাবে জেনে নাও এবং প্রস্তুতি শুরু করে দাও।
(2) সাজেশন অনুযায়ী পড়ো : পরীক্ষার আগের রাতে সব কিছু না পড়ে সাজেশন অনুযায়ী পড়ো। পরীক্ষায় আসতে পারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি পড়ো । পূর্বে প্র্যাকটিস করা ভূগোলের চিত্র গুলো ভালো করে দেখে নাও। খুবই কঠিন কিছু অথবা নতুন কোন বিষয় একদমই পড়া উচিত নয় ।
(3) যতটা পারো রিলাক্স থাকো: পরীক্ষার আগের রাতে খুব বেশি চাপ নেওয়া যাবে না। রিলাক্স থাকার চেষ্টা করো। হালকা ব্যায়াম করতে পারো। পড়াশোনার মাঝে একটু বিরতি নিয়ে হাটা চলা করতেও পারো। বেশি চাপ নিলে যা পড়েছ তাও ভুলে যেতে পারো এবং পরীক্ষার হলে তার কু-প্রভাব পড়তে পারে।
(4) প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও: রাতের বেলাতেই তোমার দরকারি জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও। পর্যাপ্ত কলম,পেন্সিল, রবার, স্কেল, প্রবেশপত্র প্রভৃতি পরীক্ষাসংক্রান্ত সামগ্রী ব্যাগে গুছিয়ে রাখো। কারণ সকালবেলায় তাড়াহুড়ো ও উৎকন্ঠার কারণে অনেকেই এসব ঠিকমতো গুছাতে পারে না।
(5) পুষ্টিকর খাবার খাবে: পরীক্ষার আগের রাতে বিভিন্ন ফাস্টফুড ও মশলাজাতীয় খাবার পরিত্যাগ করে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। যেমন বিভিন্ন ফলমূল, দুধ, বাদাম – যেগুলো তোমাকে শক্তি দেবে। গ্রিন-টি পান করতে পারো, এটি তোমাকে বেশি মনোযোগী হতে সাহায্য করবে। রাতের খাবারে হালকা কিছু খেতে পারো যেমন- ডাল, শাকসবজি ইত্যাদি।
(6) পরিমিত ঘুম জরুরী: আমরা অনেকেই পরীক্ষার আগে রাত জাগার অভ্যাস করি । আবার অনেকেই পরীক্ষার আগের রাতে ঘুমাই না । এটা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। কারণ মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না হলে সে কাজ করতে পারবে না । তাই পরীক্ষার আগের রাতে কমপক্ষে 7 ঘন্টা ঘুমানো দরকার। দশটা থেকে সাড়ে দশটার বেশি রাত জাগবে না।
(7)এলার্ম সেট করে রাখো: পরীক্ষার আগের রাতের অন্যতম একটা কাজ হলো এলার্ম সেট করে রাখা। তুমি সকালবেলা কখন ঘুম থেকে উঠবে তা মোবাইলে এলার্ম দিয়ে ঠিক করে রাখো। তবে মোবাইলে সময় একদমই অপচয় করবে না ।
(1) সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মা সরস্বতী কিংবা তোমার প্রিয় ঈশ্বরের কাছে প্রাণভরে আশীর্বাদ চেয়ে নাও।
(2) যে বিষয়গুলি কঠিন সেগুলি আরো একবার চোখ বুলিয়ে নাও।
(3) সময়মতো স্নান করে নিয়ে হালকা খাবার খেয়ে নাও।
(4) বাড়ি থেকে এমন সময় বের হও যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাবার পরও তোমার হাতে এক ঘন্টা সময় থাকে।
(5) অবশ্যই আরামদায়ক লাগবে এমন জামা কাপড় পরিধান করবে।
(6) সাথে হাত ঘড়ি পড়তে পারো। এতে সময় মেপে উত্তর লিখতে পারবে ।
(7) পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত সামগ্রী, প্রবেশপত্র সাথে অবশ্যই নিও । অন্য কোনো কাগজপত্র বা ক্যালকুলেটর বা মোবাইল ফোন সঙ্গে নেওয়া যাবে না।
(8) বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তোমার প্রিয় ঈশ্বর এবং গুরুজনদের অবশ্যই প্রণাম করবে এবং তাদের আশীর্বাদ নিয়ে যাবে।
(9) প্রয়োজন হলে সাথে একজন অভিভাবককে নিয়ে যেতে পারো এতে তোমার মনোবল বাড়বে।
(1)পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে 15 মিনিট আগে পরীক্ষা হলে তোমার নির্দিষ্ট আসন গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই মাথা ঠাণ্ডা রাখবে।
(2) পরীক্ষার হলে গিয়ে বেশি কথা বলার দরকার নেই। দরকার হলে পাশের জনের সাথে কুশল বিনিময় করতে পারো। কিন্তু প্রিপারেশন নিয়ে কোন কিছু আলোচনা করার দরকার নেই এতে ডিপ্রেশনে পড়তে পারো।
(3) পরীক্ষার প্রথম 15 মিনিট প্রশ্নপত্র দেখার জন্য এবং খাতায় নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, খাতায় মার্জিন টানা প্রভৃতির জন্য ব্যবহার করবে ।
(4) পরীক্ষার খাতা পাবার পর নিবন্ধনপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইত্যাদি কালো বলপয়েন্ট পেন দিয়ে পূরণ করো।
(5) পরীক্ষার হলে কোন প্রশ্ন কমন না পড়লে ঘাবড়ানোর কিছু নেই । বরং সেই মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রাখা বুদ্ধিমানের কাজ ।
(6) সময় মেপে উত্তর লিখবে। প্রথমে সমস্ত বহু বিকল্প ভিত্তিক এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর 30-40 মিনিটের মধ্যে শেষ করবে। 7 নম্বরের প্রতিটি প্রশ্নের জন্য 25-30 মিনিট সময় ব্যবহার করবে।
(7) পরীক্ষার হলে খাতাটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই লিখতে শুরু করে দেয় এবং পরে খাতাটি পাল্টানোর প্রয়োজন হলে সমস্যা সৃষ্টি হয় বা সময় নষ্ট হয়, তাই এ ব্যাপারে প্রথমেই সচেতন হওয়া দরকার ।
(8)পরীক্ষায় কমন না পড়লে বিচলিত না হয়ে যা পারবে তাই লিখে আসবে। কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসবে না।
(9) পরীক্ষার থেকে প্রতিটি বিষয়ের জন্য হাজিরা সিটে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হবে। না হলে ওই বিষয়ে তাকে অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে।
(1) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাতা- প্রশ্নপত্র পাওয়ার পরেই উত্তর না লিখে আগে ঠিক করে নাও কোন কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি লিখবে। এতে খাতায় কাটাকুটি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। মনে রাখতে হবে যেন প্রথম কয়েকটি পাতায় বেশি কাটাকুটি না হয়। তোমার খাতা যত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে, যিনি খাতা দেখবেন তিনি তত আকৃষ্ট হবেন ।
(2) মার্জিন আবশ্যক- খাতার প্রতি পৃষ্ঠার উপরে দুই ইঞ্চি এবং বাম পাশে দেড় ইঞ্চি মত জায়গা ফাঁকা রেখে মার্জিন টানতে হবে। পেন অথবা পেনসিল দিয়ে মার্জিন টানবে । সময় বাঁচাতে তোমরা খাতার চারিদিকটা মুড়ে ভাঁজ করে নিতে পারো, সেটাই তোমার মার্জিনের কাজ করবে ।
(3) পয়েন্ট করে লেখো – পয়েন্ট ভিত্তিক উত্তর লেখার চেষ্টা করবে। সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী উত্তর লেখার ক্ষেত্রে মনে রাখবে পয়েন্ট ভিত্তিক উত্তর লিখলে নম্বর ভালো পাবে। 2 নম্বরের প্রশ্নে 2-3 টি, 3 নম্বরের প্রশ্নে 3-4 টি এবং 5 নম্বরের প্রশ্নে 5-6 টি পয়েন্ট বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবে।
(4) বিভিন্ন কালির পেন ব্যবহার করো- পেন্সিল অথবা কালো কালি দিয়ে মার্জিন, কালো কালি দিয়ে প্যারাগ্রাফের হেডিং, নীল কালি দিয়ে মূল লেখা এবং বেগুনি অথবা আকাশী কালি দিয়ে মূল বিষয় গুলি আন্ডার লাইন করে দেবে। তবে মনে রাখবে খাতায় লাল, গোলাপি ও সবুজ কালি বিশিষ্ট পেন এর ব্যবহার করা যাবে না।
(5) প্রশ্নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে- চেষ্টা করবে প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে উত্তর দিতে। এতে খাতা দেখা সহজ হয় এবং পরীক্ষকও খুশি হন। আর তিনি খুশি হলে নম্বরও ভালো আসবে। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করে আসবে। কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসবে না।
(6) প্রয়োজনমতো চিত্র, সারণী ও চার্ট ব্যবহার করবে- বড় প্রশ্ন লেখার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সারণি(Table) ফ্লোচার্ট প্রভৃতি ব্যবহার করবে। প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় প্রয়োজনমতো চিত্র অঙ্কন করতে হবে।
(7) উত্তর লেখার ধরন- যথাযথ ও নির্ভুলভাবে উত্তর দেবে। লেখায় উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা দেবে । বড় প্রশ্নের উত্তর যেখানে শেষ হবে, ওই পাতায় অন্য প্রশ্নের উত্তর না লেখা উত্তম। একটা প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্পূর্ণ শেষ করে নিচে একটি সরল দাগ দিয়ে প্রশ্নের উত্তর সমাপ্ত বোঝানো উচিত । প্রশ্নের উত্তর শেষ না হলে পৃষ্ঠার নিচে P.T.O.(Please Turn Over) অথবা To be continued লেখা যেতে পারে।
(8) লুজ শিট এর ক্ষেত্রে- লুজ শিটে সময় না থাকলে মার্জিন করার প্রয়োজন নেই । শুধু উপরে ও বাম দিকে ভাঁজ করে নেবে। লুজ শিট নিলে তার নম্বরটি প্রথমেই মূল খাতার যথাস্থানে পূরণ করে নেবে, না হলে পরে মনে থাকবে না।
(i) বিভাগ-ক, বিভাগ-খ, বিভাগ-গ — এই বিষয়গুলি পৃষ্ঠার মাঝামাঝিতে লেখা উচিত।
(ii) প্রশ্নের দাগ নম্বর মার্জিন এরমধ্যে বাঁদিকে দেবে।
(iii) প্যারা করে উত্তর লিখবে এবং প্যারার মাঝে দূরত্ব বজায় রাখবে । এতে হাতের লেখা সুন্দর দেখাবে, তাছাড়া প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজে পরীক্ষকের দৃষ্টিগোচরে আসবে ।
(iv) খাতায় প্যারাগ্রাফের মাঝখানে চিত্রের জন্য আলাদা জায়গা ব্যবহার করবে ।
(v) কোন পার্থক্য লেখার সময় 4 থেকে 6 টি পার্থক্য বিষয় উল্লেখ করে লিখবে।
(vi) কোন শব্দের বানান ভুল হলে শুধুমাত্র একটি টান দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।
(vii) উত্তর লেখার ক্ষেত্রে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ করা যাবে না।
(viii) একই পৃষ্ঠায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর লিখতে হলে দু আঙ্গুল ফাঁকা রেখে অন্য প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করবে।
(ix) হাতের লেখা ভালো না হলেও চলবে কিন্তু লেখার গতি দ্রুত হতে হবে।
(x) নতুন প্রশ্ন নতুন পৃষ্ঠা থেকে শুরু করাই ভালো তবে গুচ্ছ প্রশ্নের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
(xi) অনাবশ্যক ভাবে পৃষ্ঠা ভরাবে না । পৃষ্ঠা গুণে নম্বর হয় না । যা চেয়েছে ও যা জানো তা সময় মেপে লেখো।
(xii) পরীক্ষায় জেল পেন, মার্কার পেন, হাইলাইট পেন ব্যবহার করবে না। এতে অন্য পৃষ্ঠাও নষ্ট হয়ে যায়।
(xiii) ভূগোলের বিভিন্ন চিত্র পেন্সিল দিয়ে আঁকবে। সময় থাকলে কালার পেন্সিল দিয়ে চিত্র গুলো রংও করতে পারো।
(xiv) পরীক্ষার খাতায় অযথা কাটাকুটি, ওভাররাইটিং, ঘষামাজা প্রভৃতি ভালো নম্বর পাওয়ার পরিপন্থী।
লিখেছেন – মনোজিত হালদার
এম.এস.সি.(ভূগোল), ডি.এল.এড , বি.এড
সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা । তার আগে karmasathe.com আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান ২০২০ । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২০ । ভূগোল সাজেশনটি পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন –