বাঙালী ব্যবসা করতে জানে না ! এই তকমাটা এমনভাবে বাঙালির কপালে সেঁটে দেওয়া হয়েছে যা সরানো আজ থেকে কয়েকবছর আগেও বেশ মুশকিল বলে মনে হত । কিন্তু এই ধারনা যে সম্পূর্ণ ভুল অতীতেও অনেক বাঙালী প্রমানে করে দেখিয়েছে । এবং নিঃসন্দেহে আগামীতেও করবে ।
সময় এগোচ্ছে বাঙালির ধারনাও পাল্টাচ্ছে । “চাকরি ছাড়া জীবন বৃথা” এই বস্তাপচা ধারনা থেকে একটু একটু করে বেরিয়ে আসছে অনেক যুবক যুবতী । অন্যদিকে চাকরির যা বর্তমানে অবস্থা তাতে ভরসা করে থাকলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে ।
আর এইসকল কথা মাথায় রেখেই আমরা চাকরির সাথে সাথে বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয় । আজকেও তার অন্যথা হবে না । আজকের ব্যবসাটি অত্যন্ত কম পুঁজিতে প্রাথমিকভাবে শুরু করতে পারবেন । আপনারা এই প্রতিবেদনটি ব্যবসাটি সম্বন্ধে আর কোনরকম সন্দেহ থাকবে না বলে আমি মনে করি । তো চলুন শুরু করা যাক ধাপে ধাপে ।
আজকে ব্যবসাটি হল পেপার প্লেট তৈরির ব্যবসা । হ্যা বন্ধুরা শীত , গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা এমন কোন সময় নেই যখন এই পেপার প্লেটের চাহিদা থাকে না । এবং একইসাথে এই ব্যবসায় পচন ধরার মত কোন উপকরণ নেই । তাই আপনার চিন্তারও কোন কারণ নেই যে আপনার উৎপাদিত পন্য আগামী একদিন কি দুদিনের মধ্যেই বিক্রি করতে হবে । সবদিক বিবেচনা করে শুরু করার ক্ষেত্রে এমন ব্যবসা হয়তো খুব কমই রয়েছে । তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই পেপার প্লেট তৈরি করার জন্য কি কাঁচামাল লাগে ।
আমি আগেই বলেছি এর মত নির্ঝঞ্ঝাট ব্যবসা হয়ত খুব কমই আছে । এই ব্যবসাটি করতে আপনার লাগবে একটি পেপার প্লেট তৈরির মেশিন , বিভিন্ন মাপের ডাইস এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল।
পেপার প্লেট তৈরির জন্য একটি মাত্র কাঁচামাল সেটি হল কাগজ । এই কাগজ আবার বিভিন্ন রকমের পাওয়া যায় । যার দাম বাজারে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা থেকে ৯৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । এমনকি বর্তমানে সার্কেল কাটিং কাগজও পাওয়া যাচ্ছে । যেখানে আপনাকে কিছুই করতে হবে না । শুধুমাত্র সার্কেল কাটিং কাগজ মেশিনে ভরে দিন , মেশিন অন করুন , আপনার কাগজের প্লেট আপনা আপনি তৈরি হয়ে যাবে । এই কাঁচামাল কোথায় পাবেন চিন্তা করার দরকার নেই , সব ঠিকানা ও ফোন নাম্বার আপনাদের এই প্রতিবেদনের শেষে দিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
এবার আসি পেপার প্লেট তৈরির মেশিনের প্রসঙ্গে । মূলত তিন ধরনের পেপার প্লেট তৈরির মেশিন রয়েছে । যথা –ম্যানুয়েল মেশিন , হাইড্রোলিক মেশিন এবং অটোমেটিক মেশিন ।
ম্যানুয়েল মেশিনের ক্ষেত্রে কোন ইলেক্ট্রিসিটি খরচ হয় না ।শুধুমাত্র হাতের সাহায্যেই এই মেশিন চালান যায় । এবং সবথেকে মজার বিষয় হল ম্যানুয়েল মেশিন চালাতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না । খুব সহজেই যে কেউ এই ম্যানুয়েল মেশিন চালাতে পারে । যদি আপনার কাছে পুঁজি বেশি না থাকে তাহলে প্রাথমিকভাবে এই মেশিন দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।
এটি ইলেকট্রিসিটির সাহায্যে চলে । সুইচের সাহায্যে এই মেশিন চালাতে হয় । মেশিনের নির্দিষ্ট জায়গায় কাগজ রাখুন । সুইচ টিপুন আপনার পেপার প্লেট তৈরি । সত্যি বলতে কি এই মেশিন চালানো আর সুইচ টিপে ঘরের লাইট জ্বালানো একই ব্যপার । ঘরের বয়স্ক মানুষও খুব সহজেই এই মেশিন চালাতে পারবে ।
আপনার ব্যবসা যখন একটু চলতে লাগবে তখন আপনি ম্যানুয়েল থেকে হাইড্রোলিক মেশিন কিনে ফেলুন । এর দাম একটু বেশি । কিন্তু এর সাথে সাথে সাথে ম্যানুয়েল মেশিনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা অনেকটাই বেশি ।
এবার আসি অটোমেটিক মেশিনের কথায় । এর দাম তুলনামূলক অনেক বেশি । যদি অটোমেটিক মেশিন কিনতে হয় তাহলে সবথেকে ভাল হল হাইড্রোলিক অটোমেটিক মেশিন । এর উৎপাদন ক্ষমতা সব থেকে বেশি ।
প্রতিবেদনের শেষে এই বিভিন্নধরনের মেশিন গুলি কোথা থেকে কম দামে পাবেন তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে ।
পেপার প্লেট তৈরির ব্যবসার জন্য আপনার খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই । মেশিনগুলির সাইজ খুব বড় না হওয়ায় আপনার ঘর থেকেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন । পরবর্তীকালে আপনার ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি হলে আশাকরি আপনার জায়গার বৃদ্ধি করতেও সমস্যা হবে না ।
ক। ধরা গেল আপনি মেশিন কিনে উৎপাদন শুরু করে দিয়েছেন ।এবার আপনার কাছে সব থেকে বড় প্রশ্ন হল আপনি এই উৎপাদিত পেপার প্লেট কোথায় বিক্রি করবেন । প্রাথমিকভাবে পেপার প্লেটের চাহিদা সর্বত্র রয়েছে । তাই আপনি লোকাল বাজারেই খুচরা এবং পাইকারি দুইভাবেই বিক্রি করতে পারবেন ।
খ । আপনার এলাকায় স্টেশনারি যে সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটার আছে তাদের কাছেও পেপার প্লেট বিক্রি করতে পারবেন।
গ । বর্তমানে ইন্টারনেট বিক্রির একটি প্রধান মাধ্যম । আপনি চাইলে Google, Facebook, Youtube- এ অল্প টাকা খরচ করে আপনার পেপার প্লেটের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে পারবেন । চাইলে আমাজন , ফ্লিপকার্টেও বিক্রি করতে পারেন ।
ঘ । আবার সেলসম্যান নিয়োগ করেও আপনি পেপার প্লেট বিক্রি করতে পারেন।
ঞ । এবার আমাদের কর্মসাথী পোর্টালের পাঠকদের জন্য একটি সুখবর । যারা এই প্রতিবেদনটি পড়ছেন তাদের জন্য নিচে একটি ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে । আপনারা যখন সেখানে যোগাযোগ করবেন ওনারাই আপনাদের এলাকার ডিলার ও হোল সেলারের নাম্বার দিয়ে দেবেন । যার ফলে আপনার উৎপাদিত পেপার প্লেটগুলি সেই সকল ডিলার ও হোল সেলাররাই কিনে নেবেন । তাই এবার আর উৎপাদিত পন্য কোথায় বিক্রি করবেন সেই চিন্তা ছেড়ে দিন ।
হ্যা বন্ধুরা । ট্রেনিং মানুষকে আরও বেশি দক্ষ করে তোলে । তাই পেপার প্লেট তৈরির ব্যবসা শুরু করার আগে আপনারও একটু ট্রেনিং নিয়ে নিলে ভালোই হয় । আপানাদের জন্য আবারও একটি সুখবর । এক ঘণ্টার ফ্রি ট্রেনিং আপনাদের দেওয়া হবে । যেখানে আপনি শিখবেন কিভাবে আপনি পেপার প্লেট তৈরি করবেন ? কিভাবে মেশিন চালাবেন ? তথা এই পেপার প্লেট ব্যবসা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ গাইড এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন । তাহলে এবার প্রশ্ন হল এই ট্রেনিং কোথা থেকে পাবেন । নিচে আপনাদের জন্য ফোন নাম্বার ও ঠিকানা দেওয়া হল ।
কোন ব্যবসার শুরু করার আগে অন্যতম বিষয় হল সেই ব্যবসায় আদৌ লাভ কত হবে ? সারাদিন গরুর মত পরিশ্রম করে গেলাম আর লাভের লাভ কিছুই হলনা । তাহলে সেই ব্যবসা না করাই ভালো । কিন্তু পেপার প্লেট তৈরির ব্যবসা এমন একটি লাভজনক ব্যবসা যার তথ্য আমি নিচে দিচ্ছি ।আপনারাই দেখুন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিন কেন আপনার আজই এই ব্যবসাটি শুরু করা উচিত ।
প্রত্যেকটি পেপার প্লেট পিছু ১০ থেকে ২০ পয়সা আপনার লাভ হবে । দাড়ান দাঁড়ান ভাবছেন মাত্র ১০ পয়সা ! চলুন তবে আপনাকে একটু বিস্তারিত হিসাবটা বঝায় । একটি ম্যানুয়েল মেশিন এক ঘণ্টা কাজ করে আপনি ২ হাজার পিস থালা তৈরি করতে পারবন । তর্কে খাতিরে যদি কম করে প্রতি পাতা পিছু ১০ পয়সা লাভ ধরি তাহলে এক ঘণ্টায় আপনার লাভ হচ্ছে ২০০ টাকা ।
এই হিসাবে আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা কাজ করেন তাহলেও আপনার প্রতিদিনের লাভ দাঁড়াচ্ছে ১৬০০ টাকা । আমি না হয় আরও একটু কম করে ১০০০ টাকা প্রতিদিন ধরে নিলাম । তাহলে আপনার মাসিক ইনকাম মিনিমাম ৩০ হাজার টাকা হওয়া কোন ব্যাপারই না । এবার যখন ব্যবসার বৃদ্ধি ঘটবে তখন আপনি একটির জায়গায় ৫ টি মেশিন লাগাবেন । তখন আপনার লাভ কোথায় গিয়ে দারাবে একটু নিজেই হিসাব করে নিয়েন ।
প্রাথমিকভাবে পেপার প্লেট তৈরির ব্যাবসার ক্ষেত্রে সেভাবে কোন লাইসেন্স লাগবে না ।তবে আপনি যখন একটি ব্যবসা শুরু করছেন তখন আপনার ব্যবসার একটু বৃদ্ধি হওয়ার পর ট্রেড লাইসেন্স এবং জিএসটি নম্বর তৈরি করে নেবেন ।এতে আপনার ক্রেতার কাছে আপনার ব্যবসার বিশ্বাস যোগ্যতা বেড়ে যাবে ।
গ্রামাঞ্চলে হলে পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিসে যোগাযোগ করলেই এই ট্রেড লাইসেন্স নিতে পারবেন। আর যেহেতু এখন অনলাইনের মাধ্যমেও লাইসেন্স করা যায়, তাই অনলাইনে আবেদন করলেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি হলে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে।
এবার আসি পেপার প্লেট মেশিনের দাম ( Paper Plate Making Machine Price ) প্রসঙ্গে । আপনি আগেই আগেই জেনে নিয়েছেন ম্যানুয়েল , হাইড্রোলিক এবং অটোমেটিক এই তিন ধরনের পেপার প্লেট মেশিন রয়েছে । শুধু তাই নয় এই তিন ধরনের মধ্যেও আবার বিভিন্ন ধরনের দামের মেশিন রয়েছে । আমরা এই প্রতিবেদনে সেই সকল তথ্য উল্লেখ করব না । তবে একটি মেশিনের দাম সম্পর্কে একটি সাধারন দেওয়ার চেষ্টা করব ।
এই মেশিন আপনি ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন । তবে ডাইস ভেদে ২০ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকারও ম্যানুয়েল মেশিন রয়েছে ।
এই মেশিনের ক্ষেত্রেও একইভাবে বিভিন্ন দামের মেশিন রয়েছে । মেশিন ভেদে ৫৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষ পর্যন্ত মেশিনের দাম রয়েছে ।
যদি অটোমেটিক মেশিন কিনতে হয় তাহলে সবথেকে ভাল হল হাইড্রোলিক অটোমেটিক মেশিন । যা আপনি ৯৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষ পর্যন্ত দাম রয়েছে ।
এবার আসি সবথেকে বড় প্রশ্নে ! পেপার প্লেট তৈরির মেশিন এবং তার কাঁচামাল কোথায় পাবো ? কিন্তু সত্যি বলতে কি এর থেকেও বড় প্রশ্ন হল কোথায় মেশিন কিনলে ঠকতে হবে না ? আপনি হয়তো ইন্টারনেটে হাজার ঠিকানা পেয়ে যেতে পারেন । কিন্তু আমরা কখনই আপনাকে ভুল ঠিকানা দিয়ে বিভ্রান্ত করি না ।
বরাবরই কর্মসাথী পোর্টালে যে খবর প্রকাশিত হয় সেখান থেকে আপনারা সবসময়ই উপকৃত হন তাই আপনারা বারবার ফিরে ফিরে আসেন এই পোর্টালে । তাই আপনাদের জন্য পেপার প্লেট তৈরির মেশিনের সেরা ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার নিচে দিলাম ।
এনারা আপনাকে শুধু মেশিন বিক্রি করেই থেমে যাবেন না । আপনার ব্যবসাকে সফল করার জন্য সবরকম সাহায্য করবেন । এনারাই আপনার এলাকার বাজার দেখে বলে দেবেন কোন মেশিন আপনার কেনা উচিত । এনারাই আপনাদের কাঁচামালের সবরকম যোগান দেবেন । মেশিন কিভাবে চালাবেন তার জন্য এক ঘণ্টার একটি ফ্রি ট্রেনিং দেবেন । এবং এনাদের ইঞ্জিনিয়াররা আপনার কেনা মেশিনের জন্য যেকোনরকম সহায়তা প্রদান করবেন ।
এমনকি আপনার মেশিন যদি পুরনো হয়ে গিয়ে থাকে । অথবা আপনি হয়তো ম্যানুয়েল মেশিন কিনেছিলেন এবার আপনার ব্যবসা বেরেছে । আপনি চাইছেন আপনার ম্যানুয়েল মেশিনটি পাল্টে হাইড্রোলিক মেশিন কিনবেন । সেক্ষেত্রেও এনারা আপনার পুরনো মেশিনটি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট ছাড় দিয়ে কিনে নেবেন এবং আপনাকে নতুন মেশিন সরবরাহ করবেন । আর কি চাই ?
আমি যাদের কথা বলছি সেই কোম্পানির নাম রাধামাধব ইন্ডাস্ট্রি । নিচে এই কোম্পানির ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দেওয়া হল –
কোম্পানির অফিস টাইম সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা । বুধবার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে ।
শিক্ষা , চাকরি , ব্যবসা , প্রকল্প , ব্যাঙ্ক , রেল তথা রাজ্য এবং দেশের TRENDING খবরের আপডেট পেতে আমাদের Whatsapp গ্রুপে জয়েন করুন । জয়েন করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন
This post was last modified on January 18, 2023 11:45 am
DEO Job Vacancy 2024 DEO Job Vacancy 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…
IARI Job Vacancy IARI Job Vacancy : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
GIRHFWT Recruitment 2024 GIRHFWT Recruitment 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
NVS Vacancy 2024 NVS Vacancy 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে…
Driver Job vacancy 2024 Driver Job vacancy 2024 : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…
Cold Drink Business Plan Cold Drink Business Plan : বন্ধুরা কর্মসাথী ডট কমের আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা…